লিংকডইন সঠিকভাবে ব্যবহারের টিপস

Posted by

লিংকডইনলিংকডইন (LinkedIn) ফেসবুক বা টুইটারের মতই একটা সামাজিক যোগাযোগ সাইট যা চাকুরীজীবী এবং ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষায়িত ভাবে তৈরিকৃত।

এটি ডিসেম্বর, ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ৫ মে, ২০০৩ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু করা হয়।

LinkedIn সবার কাছেই সুপরিচিত একটি নাম। পেশাদারদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় কমিউনিটি হচ্ছে এই লিংকডইন।

পেশাজীবীদের কাছে কাজের এক সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হলো লিংকডইন।

বর্তমানে করপোরেট জগতে নিয়োগকর্তারা চাকরিপ্রার্থীর যোগ্যতা যাচাইয়ে লিংকডইনের সহায়তা নেন।

কারণ একজন কর্মীর সব কটি পেশাগত দক্ষতা সম্পর্কে জানতে লিংকডইনের বিকল্প নেই।

চাকরি বদলানো বা নতুন চাকরি পেতেও সহায়ক এই ওয়েবসাইট।

আপনি চাকরি অথবা ব্যবসা করছেন কিংবা করার যদি সম্ভাবনা/পরিকল্পনা যদি থেকে থাকে, তাহলে অবশ্যই আপনার LinkedIn প্রোফাইল থাকা উচিত।

আপনি যদি স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার LinkedIn প্রোফাইল থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৫০ কোটির বেশি মানুষ লিংকডইন ব্যবহার করে চলেছেন ক্যারিয়ারে পথচলা সুন্দর করতে।

পেশাজীবীদের জন্য তৈরি এই সাইটে ইচ্ছে করলেই নিজের সব তথ্য রাখা যায়।

শিক্ষাগত যোগ্যতা, নিজের কাজের খবর, বর্তমানে যেখানে কর্মরত—এসব তথ্য সহজেই শেয়ার করা যায়।

মসরুর জুনাইদ-এর ব্লগে আরও পড়ুন- 

একনজরে কারও সব কটি পেশাগত বিষয় জানতে লিংকডইনের জুড়ি নেই। বাংলাদেশেও বেশ দ্রুতগতিতে বেড়ে চলেছে লিংকডইনের জনপ্রিয়তা।

সম্প্রতি লিংকডইনে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। লিংকডইনকে করা হয়েছে আগের চেয়ে অনেক বেশি ইউজার ফ্রেন্ডলি।

ব্যক্তিগত প্রোফাইলকে এমনভাবে সাজানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে যেন ভিউয়ার সহজেই ব্যক্তি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পেতে পারেন।

লিংকডইনের নতুন আউটলুকে কিভাবে আকর্ষণীয় করে সাজাবেন আপনার ব্যক্তিগত প্রোফাইলকে ?

লিংকডইন সঠিকভাবে ব্যবহার করার উপায়

১। মানুষ সবার আগে যে জিনিসটি লক্ষ্য করবে তা হচ্ছে আপনার নাম। একটি ভুল অনেকের প্রোফাইলেই দেখা যায় – নাম ঠিকমতো না লেখা।

যেমন কারো নাম যদি লেখা হয় ‘AZIZUL NOBLE’ – এভাবে পড়তে কিন্তু আরাম হচ্ছে না।

‘Azizul Noble’ আদ্যক্ষর বড় হরফে এবং বাকি অক্ষরগুলো ছোট হরফে – এভাবে পড়তে সহজ হয়। সূক্ষ্ম এই বিষয়টি অনেকে এড়িয়ে যান, কিন্তু এটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

কারণ এর মাধ্যমেই আপনার যোগাযোগ দক্ষতা, অর্গানাইজেশন, পেশাদারিতা – ইত্যাদি সম্পর্কে একটা ধারণা গড়ে উঠবে।

২। ছাত্রজীবনে লিংকডইন প্রোফাইল খোলা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু অনেকেই তাদের প্রোফাইলে ক্লিয়ার করে লিখেন না তিনি কোন বিষয়ের ছাত্র/ছাত্রী বা তার দক্ষতা কিসে।

পরিচয়ে কেবল ‘Student’ না লিখে কোন প্রতিষ্ঠানে, কোন বিষয়ের উপর পড়ছেন, কোন বর্ষে আছেন সেগুলো উল্লেখ করুন, এবং নিয়মিত আপডেট করুন।

৩। ছাত্র/ছাত্রীদের আরেকটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে – শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম ঠিকভাবে লেখা আবশ্যক।

যেমন কেউ যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে তাহলে প্রোফাইলে ‘Dhaka University’ না লিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল নাম ‘University of Dhaka’ লিখতে হবে।

কারণ লিংকডইন একটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম, এখানে আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করা বাঞ্ছনীয়।

৪। ছাত্রজীবনে কাজের অভিজ্ঞতা থাকে না অনেকেরই। এজন্য অনেকেই অভিজ্ঞতার জায়গায় শিক্ষাগত যোগ্যতার বিবরণ দিয়ে থাকেন।

এগুলো মূলত ‘Education’ সেকশনে লেখা উচিত।

অভিজ্ঞতার জায়গাটি একদম খালি না রেখে আপনি কী কী কাজ করেছেন সেগুলো উল্লেখ করুন।

অনেকেই কোচিং সেন্টারে পড়ান, ছোটখাটো ইন্টার্নশিপ করেন।

এছাড়া অনলাইনে লেখালেখি, ভিডিও বানানো, ছবি তোলা ইত্যাদি নানারকম কাজের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে – আপনি এমন কিছুর সাথে সংশ্লিষ্ট থাকলে অভিজ্ঞতার জায়গায় সেগুলো তুলে ধরুন।

৫। এবারে আসা যাক কর্মজীবীদের প্রসঙ্গে। মনে করুন আপনি এ পর্যন্ত তিনটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন, কিন্তু লিংকডইন ফোকাস করবে কেবল একটি প্রতিষ্ঠানকে – সর্বশেষ যে প্রতিষ্ঠানে আপনি চাকরি করছেন বা করেছেন।

সুতরাং এই প্রতিষ্ঠানে আপনার কাজ ও অর্জনগুলোকে ধাপে ধাপে সাজিয়ে স্পষ্ট করে উল্লেখ করুন, গুছিয়ে উপস্থাপন করার জন্য প্রেজেন্টেশন, ভিডিও, ছবি ইত্যাদি যুক্ত করতে পারেন, এতে দর্শক আপনার প্রতি আরো আকৃষ্ট হবে।

৬। লিংকডইন মানেই যে কেবল পেশাদারি কাজের কথা লিখতে হবে এমন না। মানুষের সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তোলার সবচেয়ে ভাল উপায় ব্যক্তিগত পর্যায়ে যোগাযোগ গড়ে তোলা।

তাই প্রোফাইলে আপনার বিভিন্ন গঠনমূলক শখের কথা লিখতে কার্পণ্য করবেন না।

যারা আপনার প্রোফাইল পড়ছে তাদের অনেকের সাথেই আপনার শখ মিলে যেতে পারে, সেখান থেকে আপনার সাথে পরিচয়ের আগ্রহও তৈরি হতে পারে।

৭। যোগাযোগের জন্য একটি মাত্র ইমেইল ব্যবহার করুন। অনেকেরই কয়েকটি ফোন নাম্বার/ইমেইল একাউন্ট থাকে। কিন্তু একটি একাউন্ট থাকবে যেখানে আপনাকে সবসময় পাওয়া যাবে।

সেই ইমেইলটি প্রতিনিয়ত চেক করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। দ্রুত রিপ্লাই পেলে প্রাপকের মনে আপনার পেশাদারিতা এবং দক্ষতা সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা তৈরি হবে।

অনেকে শুধু অফিসে মেইল চেক করেন, বাসায় আসলে বা ছুটির দিনে মেইল চেক করেন না/ রিপ্লাই দেন না। এগুলো অপেশাদারিতার লক্ষণ।

অ্যাপলের CEO টিম কুক এখনো প্রতিদিন ভোর চারটায় উঠে সবার প্রথমে মেইল চেক এবং রিপ্লাই দেওয়ার কাজ সারার মাধ্যমে দিন শুরু করেন।

৮। ‘লিংকডইন অ্যানসার’ খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান যেখানে বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকেন। আপনি সেখানে লগইন করে যে প্রশ্নগুলোর উত্তর জানেন সেগুলো প্রদান করুন।

চাইলে প্রশ্নসহ উত্তরটি আপনার ব্লগে প্রকাশ করে তারপর লিংকডইনে দিয়ে সোর্স হিসেবে আপনার ব্লগ ঠিকানা দিয়ে দিতে পারেন।

এতে কোয়ালিটি ভিজিটর পাবেন, যা আপনার ব্যবসার প্রসারে সহায়ক হবে।

৯। প্রসার বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন গ্রুপে জয়েন করার বিকল্প নেই। কিন্তু এক্ষেত্রে একটি সমস্যা হচ্ছে বেশিরভাগ গ্রুপই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হয় না। লিংকডইনে প্রতি সেকেন্ডে গ্রুপ তৈরি হয়।

তাই সঠিক গ্রুপ নির্ধারণ করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার হলেও এটি আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

যাচাই-বাছাই করে আপনার পেশা, দক্ষতা, আগ্রহের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ গ্রুপগুলোয় যোগ দিন।

গ্রুপে সদস্য যতো বেশি হয় ততো ভাল। ভাল গ্রুপে একটি পোস্টই আপনাকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে।

১০। অনেকেই লিংকডইন ব্যবহার করে থাকে কেবল চাকরি খোঁজার উদ্দেশ্যে। অথচ প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও যোগ্যতা না থাকলে এভাবে চাকরি পাওয়া দুঃসাধ্য একটি ব্যাপার।

লিংকডইনকে শুধু চাকরি খোঁজার মাধ্যম হিসেবে না দেখে মানুষের সাথে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলায় মনোযোগী হন, এর সুদূরপ্রসারী উপকার পাবেন।

১১। নিয়মিত বিভিন্ন কনটেন্ট শেয়ার করুন। আপনার কোম্পানির ব্লগ পোস্ট লিংকডইন ফিড এর মাধ্যমে শেয়ার করুন।

এছাড়াও বিভিন্ন গ্রুপে আপনার কোম্পানির ব্লগ পোস্ট ও অন্যান্য ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয় লিংক সাবমিট করুন।

এতে করে আপনার নেটওয়ার্ক যেমন বড় হবে, তেমনি মানুষ আপনার সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে উঠবে।

১২। কানেকশন তৈরি অনেক বড় একটি দক্ষতা। ফেসবুকে অনেকেই আছেন একদম কাছের মানুষ ছাড়া কাউকে ফ্রেন্ডলিস্টে রাখেন না। কর্পোরেট জগতে এটি বোকামি হিসেবে গণ্য করা হয়।

কানেকশন যতো বড়, আপনার ব্যবসার প্রসারও ততোই বাড়বে।

বিভিন্ন মিটিং, সেমিনার, ওয়ার্কশপে মানুষের সাথে কথা বলুন, পরিচিত হন, লিংকডইনে কানেক্টেড থাকুন।

১৩। ফেসবুকে যেমন পেইজ বা গ্রুপ তৈরি করি আমরা, লিংকডইনেও এরকম ব্যক্তিগত কানেকশন নিয়ে গ্রুপ তৈরি করা যায়।

আপনি আপনার পরিচিতজনদের নিয়ে প্রোফেশনাল টিম গঠন করে নিতে পারেন। এটা আপনার কর্মক্ষেত্রে শক্তি বৃদ্ধি করবে।

১৪। “Elevator pitch” এর নাম অনেকেই শুনে থাকবেন। মনে করুন এলেভেটরে আপনার বসের সাথে দেখা, মাত্র ৩০ সেকেন্ডের একটি সুবর্ণ সুযোগ নিজেকে উপস্থাপন করার! এটি বেশ কঠিন ব্যাপার, কিন্তু সুযোগটিকে কাজে লাগাতে জানতে হবে।

কারণ নিয়োগকর্তারা আপনার পিছনে দীর্ঘ সময় খরচ করবে না।

লিংকডইনের ‘Summary’ ও অনেকটা এলেভেটর পিচের মতোই। খুব সংক্ষেপে ২-১ লাইনের মধ্যে নিজেকে তুলে ধরুন।

ক্যারিয়ারে আপনার লক্ষ্য, কোথায় পৌঁছতে এবং কেন আপনি এর যোগ্য – নিয়োগকর্তাদের মনে সাধারণত যে প্রশ্নগুলো থাকে খুব অল্পকথায় সেগুলোর উত্তর দিয়েই একটি সংক্ষিপ্ত, আকর্ষণীয় সামারি লিখে ফেলতে পারেন আপনি।

১৫। লিংকডইনের ছবিটি কেমন হবে? ছবির গুরুত্ব সম্পর্কে অনেকেই ওয়াকিবহাল নন, অথচ ছবি দেখেই আপনার সম্পর্কে মানুষের মনে প্রাথমিক ধারণা জন্মাবে।

যেহেতু আপনার লিংকডইন প্রোফাইলটি ব্যবসায়িক প্রয়োজনে – তাই ছবি হওয়া চাই প্রফেশনাল।

কভার ফটোতে এমন ছবি রাখার চেষ্টা করুন যেটি দেখে মানুষ আপনার কাজ সম্পর্কে একটি ধারণা পাবে।

যেমন আপনি কোথাও বক্তব্য রাখবার সময় ছবি থাকলে – সেটি দর্শকের মনে ইতিবাচক ছাপ ফেলবে আপনার আত্মবিশ্বাস, নেতৃত্বগুণ এবং যোগ্যতা সম্পর্কে।

১৬। লিংকডইন আপনার সঙ্গে যুক্ত পেশাদারদের কাছ থেকে বিভিন্ন পেশাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার সুপারিশ পাবেন।

নিয়োগকর্তারা অনেকক্ষেত্রেই ইন্টারভিউর আগে চোখ বুলিয়ে নেন প্রার্থীর লিংকডইন প্রোফাইলে। এ ক্ষেত্রে পেশাদারদের সুপারিশ আপনাকে এগিয়ে রাখবে চাকরি পাওয়ার দৌড়ে।

১৭। আপনার দক্ষতা গুলোর বিবরণ দেওয়ার সময় বিভিন্ন ‘Key words’ ব্যবহার করুন। চিন্তা করুন আপনার নিয়োগকর্তা কী কী দক্ষতা প্রত্যাশা করবেন আপনার কাছে, সেগুলো কি-ওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করুন।

১৮। ‘Company Buzz’ নামে লিংকডইনের একটি অ্যাপ আছে, সেটি ব্যবহার করে আপনি জানতে পারবেন টুইটার, লিংকডইন ইত্যাদি সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আপনার কোম্পানি বা আপনার সম্পর্কে মানুষের মতামত, ধারণা ইত্যাদি।

নিয়মিত এ বিষয়গুলো সম্পর্কে খবর নেওয়ার, মার্কেট সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা গড়ে তোলার অভ্যাস থাকতে হবে।

১৯। সোশাল মিডিয়ায় আপনি ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট যেখানেই থাকুন না কেন লিংকডইন প্রোফাইল লিঙ্কটি দিতে ভুলবেন না। এর মাধ্যমে নতুন নতুন মাধ্যম থেকে নেটওয়ার্ক তৈরি হবে।

২০। সবশেষে নজর দিন আপনার প্রোফাইল কতটা নান্দনিক তার উপর।

প্রোফাইলটি পড়তে এবং দেখতে ভালো লাগছে কি? বানান, ব্যাকরণ ইত্যাদি যাচাই করে দেখুন, দীর্ঘ এবং কঠিন বাক্য এড়িয়ে চলুন।

তা নাহলে অনেকে বিরক্ত হয়ে পুরোটা না পড়েই আপনার প্রোফাইল থেকে বেরিয়ে যেতে পারে।

মসরুর জুনাইদ-এর ব্লগে আরও পড়ুন- 

সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনি ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট—যেখানেই থাকুন না কেন, লিংকডইন প্রোফাইল লিংকটি দিতে ভুলবেন না।

এর মাধ্যমে নতুন নতুন মাধ্যম থেকে নেটওয়ার্ক তৈরি হবে।

সবশেষে নজর দিন আপনার প্রোফাইলটি পড়তে এবং দেখতে ভালো লাগছে কি? বানান, ব্যাকরণ ইত্যাদি যাচাই করে দেখুন, দীর্ঘ ও কঠিন বাক্য এড়িয়ে চলুন।

তা নাহলে অনেকে বিরক্ত হয়ে পুরোটা না পড়েই আপনার প্রোফাইল থেকে বেরিয়ে যেতে পারে।

মতামত দিন