বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে লেনদেনের সীমা বাড়ল পাঁচগুণ

Posted by

জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে লেনদেনের সীমা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।  ১০ সেপ্টেম্বর থেকে থেকে ঘরে বসে ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এক ব্যাংকের গ্রাহক (ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান) অন্য ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে আগের চেয়ে আড়াই থেকে পাঁচগুণ বেশি টাকা পাঠাতে পারবেন।

রবিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে।  বাংলাদেশ ব্যাংক রোববার এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলারে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।

ওই সার্কুলারে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশের (এনপিএসবি) আওতাধীন ব্যাংকসমূহে তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর আন্তঃব্যাংক সেবা ক্রমান্বয়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় এবং লেনদেন বৃদ্ধি পাওয়ায় ইন্টারনেট ব্যাংকিং ফান্ড ট্রান্সফারের (আইবিএফটি) লেনদেনের ঊর্ধ্বসীমা পুননির্ধারণ করা হয়েছে।

ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়েউল্লেখ্য, আগে একজন গ্রাহক (ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান উভয় ক্ষেত্রে) প্রতিদিন সর্বোচ্চ পাঁচবার এবং মোট দুই লাখ টাকা লেনদেন করতে পারতেন।  একবারে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পাঠাতে পারতেন।

নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ১০ সেপ্টেম্বর থেকে একজন ব্যক্তি প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১০ বার এবং মোট পাঁচ লাখ টাকা লেনদেন করতে পারবেন।

একবারে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা পাঠানো যাবে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক গ্রাহকরা প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২০ বার লেনদেন করতে পারবেন।

প্রতিদিন মোট ১০ লাখ টাকা লেনদেন করা যাবে। একবারে লেনদেন করা যাবে দুই লাখ টাকা।  এখন একবারে ৫০ হাজার টাকার বেশি পাঠানো যায় না।  প্রাতিষ্ঠানিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে লেনদেনের সীমা বেড়েছে পাঁচগুণ।

প্রসঙ্গত, আন্তঃব্যাংক এটিএম, পয়েন্ট অব সেলস (পস), ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও মোবাইল ব্যাংকিং- এ চার ধরনের সেবা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশ বা এনবিএসবি চালু হয়।

শুরুতে এনপিএসবির আওতায় শুধু এটিএম ও পস সেবা দেওয়া হচ্ছিল।

২০১৭ সালের নভেম্বরে এনপিএসবির মাধ্যমে আন্তঃব্যাংক ইন্টারনেট ব্যাংকিং তহবিল স্থানান্তর কার্যক্রমের অনুমোদন দেওয়া হয়।  ওই সময় প্রাথমিকভাবে ছয়টি ব্যাংকের মধ্যে আন্তঃব্যাংক ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা চালু হয়।

বর্তমানে এনপিএসবির মাধ্যমে আন্তঃব্যাংক ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে তহবিল স্থানান্তর কার্যক্রমে মোট ২৪টি ব্যাংক যুক্ত হয়েছে।

বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে গ্রাহকরা এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য যেকোনো অ্যাকাউন্টে, অ্যাকাউন্ট থেকে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডে অথবা ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে অর্থ লেনদেন করতে পারেন।

এছাড়া অল্প সময়ে দ্রুত ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ, ডিপিএস ও ঋণের কিস্তি জমা, বীমার প্রিমিয়াম দেয়া ও ব্যবসায়িক লেনদেন করা যায় ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে।

আরো……

মতামত দিন