চট্টগ্রাম: প্রকৃতি যে শূন্যস্থান যে পছন্দ করে না, তা আমরা এতোদিন শুধু শুনেই এসেছি। দেশে করোনা হানা দেওয়ার প্রথম দিকের দিনগুলোতে প্রাণ ফিরে পায় ”জনমানবহীন গ্রাম”!
তবে, তখনো কেউ দূরতম কল্পনাতেও ভাবেনি এত দ্রুত নগর জীবনে ছন্দপতন ঘটবে।
জীবনের সঙ্গে সঙ্গে করোনা মহামারি কেড়ে নিচ্ছে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্তের জীবিকা।
মারাত্মক প্রভাব ফেলছে উচ্চবিত্ত পরিবার থেকে শুরু করে বস্তির হতদরিদ্র মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায়।
এ মহামারিতে শ্রেণিভেদে চট্টগ্রাম এ বসবাসরত কমবেশি সকলেই আর্থিক সংকটে পড়েছে।
মসরুর জুনাইদ-এর ব্লগে আরও পড়ুন-
- সিটিজি টাইমস ডটকম ও ভবিষ্যৎ জার্নালিজম
- সিটিজি টাইমস এখন ৩ লাখ+ পাঠকের অনলাইন!
- একজন মসরুর জুনাইদ ও ‘নান্দনিক সাতকানিয়া আন্দোলন’
আর উপার্জনের পথ বন্ধ হওয়ায় বহু পেশার লোক স্বপ্নভঙ্গের বেদনা নিয়ে স্থায়ীভাবে চট্টগ্রাম ছেড়ে গ্রামে ফিরে যাচ্ছে।
যাদের ফেরার ঠিকানা নেই তাদের গল্পগুলো আরো করুণ। বাসা ভাড়ার টাকা যোগাড় করতেই এখন তাদের শ্বাসরোধ হওয়ার অবস্থা।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা বলছে, করোনার কারনে সারা বিশ্বে প্রায় ২০ কোটি মানুষ চাকরিহীন হবে।
আর বাংলাদেশে দেড় কোটির বেশি মানুষ বেকার হয়ে বিপর্যস্ত ভবিষ্যতের সম্মুখীন হতে যাচ্ছে।
হোটেল শ্রমিক কামাল বেতন আর বকশিশের উপরি আয়ে ভালোই চলছিলো তার সংসার। প্রতিমাসে ব্যাংকেও কিছু টাকা জমাত।সংসারটিও গুছিয়েছিল অনেকটাই।
তবে, করোনা হানা দেয় তার ছোট্ট কুটিরে। তাই অসমাপ্ত স্বপ্নকে ফেলে আবারো বেকারত্বকে সঙ্গী করে নিজ গ্রামে ফিরছে তিনি।
এদিকে, বন্দরনগরী চট্টগ্রাম শহরের ভবনে ভবনে ঝুলছে ‘টু-লেট’। প্রতিটি ভবনে চার থেকে পাঁচটি ফ্ল্যাট খালি।
মসরুর জুনাইদ-এর ব্লগে আরও পড়ুন-
স্থানীয় লোকজন বলছেন, আগে কখনো একসঙ্গে এত বাসা খালি হয়নি। এত টু-লেট দেখা যায়নি। লকডাউনে কাজ-কাম বন্ধ। অনেকে স্থায়ীভাবে গ্রামে চলে যাচ্ছে।
তাদের শঙ্কা এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে ভুতুড়ে নগরীতে পরিণত হবে আলো-বাতাসহীন অপরিকল্পিত নগর চট্টগ্রাম।
মসরুর জুনাইদ/ সম্পাদক- সিটিজি টাইমস ডটকম