ই-টিআইএন, ঘরে বসে নিজেই বানিয়ে নিন

Posted by

ই-টিআইএন নিতে কর অফিসে যেতে হবে না; ঘরে বসে অনলাইনেই নিতে পারবেন ই’টিআইএন। মনে রাখবেন, ই-টিআইএন নিতে কোনো টাকা লাগে না, বিনা মূল্যে ইস্যু করে এনবিআর।

ই-টিআইএন

চাকরি কিংবা ব্যবসায়ী অথবা বাৎসরিক আয় যদি আড়াই লাখ টাকার অধিক হয় তবে করদাতার  হিসেবে আপনাকে অবশ্যই ই-টিআইএন (eTIN) নিতে হবে।

ই’টিআইএন হলো আয়কর নিবন্ধনের আধুনিক সংস্করণ।  জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আগের ট্যাক্স আইডেনটিফিকেশন নাম্বারের (টিআইএন) পরিবর্তে চালু করেছে ই’টিআইএন।

বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দেওয়ার মৌসুম ( অক্টোবর ও নভেম্বর ) মাসে রিটার্ন দেওয়ার জন্য করদাতাদের মধ্যে ব্যস্ততা বেড়ে যায়।

মসরুর জুনাইদ-এর ব্লগে আরও পড়ুন- 

প্রত্যেক করদাতার একটি ই-টিআইএন আছে। ই’টিআইএন নিতে আপনাকে কর অফিসে যেতে হবে না।

ই’টিআইএন নেয়ার পদ্ধতিও অনেক সহজ করেছে এনবিআর। অনলাইনে ঘরে বসেই এখন ই’টিআইন করা সম্ভব হচ্ছে।

কীভাবে ই-টিআইএন করবেন?

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনি ই’টিআইএন নিতে পারেন। টিআইএন রেজিস্ট্রেশন ও রি-রেজিস্ট্রেশনের শুরুতে প্রত্যেককে অবশ্যই অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে

সে ক্ষেত্রে www.nbr.gov.bd এই ঠিকানায় ই-টিআইএন অপশনে গিয়ে ক্লিক করলেই ই-টিআইএন নেওয়ার পেজ পাওয়া যাবে।

অবশ্য সরাসরি incometax.gov.bd ঠিকানায় গিয়েও ই-টিআইএন নেওয়ার একই পেজ পাওয়া যাবে।

সেখানে আপনাকে প্রথমেই নির্ধারিত স্থানগুলো পূরণ করে রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে ই-মেইল ও মুঠোফোন নম্বর জরুরি।

তারপর রেজিস্ট্রার বাটনে ক্লিক করলেই ই’টিআইএনের ফরম পাওয়া যাবে।

ওই ফরমের শূন্যস্থান পূরণের জন্য আপনার কাছে কিছু মৌলিক তথ্য চাওয়া হবে।  যেমন নাম, ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, বয়স ইত্যাদি।

মনে রাখবেন, ঘরে বসে ই-টিআইএন পেতে চাইলে জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবেই। কারণ, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যাচাই-বাছাই করা হয়।

অনলাইনে ই-টিআইএনের ওই ফরমটি পূরণ করে সাবমিট করলে কয়েক মিনিটের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার ই-মেইলে ১৩ সংখ্যার ই’টিআইএন পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এভাবে সহজে ঘরে বসেই পেয়ে যাবেন ই’টিআইএন।

একাউন্ট তৈরির নিয়ম

প্রথমে incometax.gov.bd ওয়েব সাইটে প্রবেশ করুন।  হোম পেইজের Register বাটনে ক্লিক করলে রেজিস্ট্রেশন ফরম ওপেন হবে।

ফরমে প্রদানকৃত আপনার মুঠোফোন নম্বরে তাৎক্ষনিককভাবে একটি কোড পোঁছে যাবে।  পর্দাই প্রদর্শিত ডায়লগবক্স মুঠোফোনে প্রেরণকৃত কোডটি প্রদান করুন।

এবার Active বাটনে ক্লিক করলেই পর্দায় দেখতে পাবেন “Welcome to Taxpayer’s Identification Number (TIN) Registration/Re- Registration”

TIN Application মেন্যুতে ক্লিক করুন। এবার Registration/Re- Registration ফরমে প্রদর্শিত শূন্যস্থান পূরণ করে Go to Next চাপুন।

নূতন করদাতাগণ Registration বাটনে এবং পুরাতন করদাতাগণ যাদের TIN নম্বর আছে তারা Re- Registration বাটনে ক্লিক করতে হবে।

Basic Information ফরমে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করুন এবং Go to Next বাটনে ক্লিক করুন।

প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক বাংলাদেশী নাগরিকের (যাদের জাতীয় পরিচিতি নম্বর নেই) নতুন-ইটিআইএন রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে এপর্যায়ে এসে ডিজিটাল ফরমেটে সদ্য তোলা এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি আপলোড করতে হবে।

Final preview তে ফরমে প্রদর্শিত আপনার দেয়া তথ্যগুলো সঠিক আছে কিনা , তা শেষবারের মতো যাচাই করুন।সব কিছু ঠিক থাকলে, Final preview এর একেবারে নীচে চেক বক্সে টিক চিহ্ন দিন।

এরপর Submit Application বাটনে ক্লিক করলেই রেজিস্ট্রেশন/রি-রেজিস্ট্রেশনকারী নতুন ১২ ডিজিটের ই-টিআইএন।

তবে প্রাপ্তবয়স্ক ও অপাপ্তবয়স্ক আবেদনকারী , যার জাতীয় পরিচিতি নম্বর নেই এবং যিনি পাসপোর্টের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন/রি-রেজিস্ট্রেশন করতে চান তিনি একটি Ticket পাবেন।

Ticket প্রিন্ট করে তাতে উল্লিখিত নিয়ম অনুসরন করে টিকেটে উল্লেখিত আয়কর কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে।

তারপর কর কর্মকর্তারা সনাতন পদ্ধতিতে যাচাই-বাছাই করে ই’টিআইএন ইস্যু করে থাকেন।

প্রতিবছর ২২-২৩ লাখ টিআইএনধারী রিটার্ন জমা দেন। তবে এ বছর থেকে কিছু শর্তে ছাড় দিয়ে প্রায় সব টিআইএনধারীর রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

মসরুর জুনাইদ-এর ব্লগে আরও পড়ুন- 

প্রসঙ্গত, আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেইজ হতে ভেরিফাইড হয়ে কয়েক মিনিটেই মিলবে টিআইএন বা টিন সনদ।  জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর ওয়েব সাইট হতে জেনারেট হওয়া এই সনদটি প্রিন্ট নিয়ে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন সর্বত্র, যে কোন প্রয়োজনে।

মতামত দিন