বায়েজিদ বোস্তামীর মাজার, ইরানের বিখ্যাত সুফী সাধক বায়েজিদ বোস্তামী (রহ.) এর নাম অনুসারে প্রতিষ্ঠিত এই মাজার। তবে, প্রখ্যাত এই সুফি সাধকের চট্টগ্রাম অঞ্চলে আগমনের কোনো ঐতিহাসিক ভিত্তি খুঁজে পাওয়া যায়না।
চট্টগ্রামের নাসিরাবাদের একটি পাহাড়ের বিখ্যাত পার্সিয়ান সুফি সাধক বায়েজিদ বোস্তামীর নামে গড়ে ওঠা ‘বায়েজিদ বোস্তামীর মাজার’ চট্টগ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্যও আকর্ষণীয় স্থান।
সুলতানুল আরেফিন (আরেফিনদের সম্রাট) নামে পরিচিত বায়েজিদ বোস্তামী (রহ.) তার ঈশ্বরে বিলীন হবার তত্ত্বের জন্য বিখ্যাত।
৮০৪ খ্রিস্টাব্দে খোরাসানের বোস্তাম শহরে জন্মগ্রহণ করা এই সুফি সাধক ৮৭৭ সালে ১৩১ বছর বয়সে মারা যান। বোস্তাম শহরে তাকে সমাহিত করা হয়।
কিন্তু সুফিপ্রেমীদের ভক্তির কারণে পৃথিবীর বেশ কয়েকটি শহরে তার নামে গড়ে ওঠে মাজার।
তুরস্কের কিরিখানে থেকে সুদূর বাংলাদেশের চট্টগ্রামেও রয়েছে বায়েজিদ বোস্তামীর মাজার। তবে, আদৌ কোনদিন তিনি চট্টগ্রামে এসেছিলেন কিনা তার ঐতিহাসিক কোনো ভিত্তি নেই । বায়েজীদ বোস্তামীর চট্টগ্রাম ভ্রমণের নেই কোন প্রামাণিক দলিল।
অনেকের মতে, সিল্ক রুটের যুগে ভারত, চীন আর মধ্যপ্রাচ্যের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ছিল চট্টগ্রাম। এ পথেই প্রথম মুসলিমেরা চীন গিয়েছিল।
সম্ভবত বায়েজিদের অনুসারীরা নবম শতকে এ বন্দর নগরীতে এসেছিলেন, এবং তাদের প্রভাবেই এই মাজারের এই নামকরণ।
প্রখ্যাত সুফি সাধক হজরত বায়েজিদ বোস্তামি (রহ.)
বায়েজিদ বোস্তামীকে আমরা সকলেই ছোট থেকেই চিনে এসেছি। বিখ্যাত এই সুফি সাধক অনেকের কাছেই পরিচিত তার মা ভক্তির গল্প থেকে।
১২৮ হিজরী (৮০৪ খ্রিস্টাব্দ) ইরানে অর্থাৎ তৎকালীন পারস্যের রকুমিস প্রদেশের অন্তর্গত খোরাসানের বোস্তাম শহরে জন্মগ্রহণ করেন বায়েজিদ বোস্তামি।
তার পুরো নাম আবু ইয়াজিদ তাইফুর ঈসা বিন আদম বিন সরুশান আল বোস্তামী; বোস্তামী অর্থ বোস্তামবাসী। তার পিতার নাম ছিল তয়ফুর।
পারিবারিকভাবে তার নাম আবু ইয়াজিদ রাখা হলেও স্থানীয় রীতি অনুযায়ী নামের শেষে যুক্ত হয় তার শহরের নাম বোস্তাম; বোস্তাম থেকে বোস্তামী।
মসরুর জুনাইদ-এর ব্লগে আরও পড়ুন-
- কদম মোবারক মসজিদ: ইতিহাস ও ঐতিহ্যের নিদর্শন
- অলি খাঁ মসজিদ: মোঘল স্থাপত্যকলার অনন্য নিদর্শন
- চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা মসজিদ: মুসলিম ঐতিহ্যের স্মারক
- চন্দনপুরা হামিদিয়া তাজ মসজিদ: ঐতিহাসিক স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন
তার ইয়াজিদ নামটিই কালক্রমে বায়জিদ হয়ে যায়। তিনি ৮৭৭ খ্রিস্টাব্দে ১৩১ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন এবং বোস্তাম শহরে তাকে দাফন করা হয়।
সুলতান-উল আরেফিন আখ্যায়িত বায়েজিদ বোস্তামী (রহ.) সৃষ্টিকর্তার প্রেমে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। তিনি ঈশ্বরে বিলীন হওয়ার তত্ত্বের জন্য একজন প্রখ্যাত সুফি সাধক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।
তার পিতার নাম ছিল তয়ফুর। বাবার নামানুসারে আবার কেউ কেউ তাকে ডাকেন তায়ফুর আবু ইয়াজিদ আল বোস্তামি নামে।
বায়েজিদ বোস্তামীর একটি বিখ্যাত উক্তি, ‘আমি একবার স্বপ্নে দেখলাম, আল্লাহকে আমি জিজ্ঞেস করছি, তাঁকে পাওয়ার পথ কী? তিনি বললেন, নিজেকে ত্যাগ কর, দেখবে পৌঁছে গিয়েছ।
সুফিবাদের মতে, এমন কঠোর সাধনাই পারে কোনো মানুষকে সৃষ্টিকর্তার নৈকট্যলাভের কাছাকাছি পর্যায়ে নিয়ে যেতে। এভাবে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ কম মানুষই করার সুযোগ পায়।
জনশ্রুতি এবং চট্টগ্রামে বায়েজীদ বোস্তামী
চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামীর মাজারটা মূলত উনাকে উৎসর্গ করে প্রতিষ্ঠিত একটি প্রতিরূপ মাত্র। অনেকে দাবি করে থাকেন বায়েজিদ বোস্তামী চট্টগ্রামে এসেছিলেন।
তবে, ইরানের প্রখ্যাত সুফি সাধক বায়েজিদ বোস্তামী (রহ.) এই অঞ্চলে আগমনের কোনো ঐতিহাসিক ভিত্তি খুঁজে পাওয়া যায়না।
যদিও এলাকার জনশ্রুতি অনুযায়ী ইরানের বিখ্যাত সুফী সাধক বায়েজিদ বোস্তামীর (রহ.) চট্টগ্রামে আগমনের ইতিহাস শুনতে পাওয়া যায়।
ভক্তরা দাবি করেন, বায়েজিদ বোস্তামী এই অঞ্চলে এসেছিলেন এবং চট্টগ্রামে অবস্থানের পরে প্রস্থানকালে ভক্তকূল তাকে থেকে যাওয়ার অনুরোধ করলে তিনি তাদের ভালোবাসা ও ভক্তিতে মুগ্ধ হয়ে কনিষ্ঠ আঙ্গুল কেটে কয়েক ফোঁটা রক্ত চট্টগ্রামের মাটিতে ঢেলে দেন এবং সেখানে একটি মাজার বানানোর অনুমতি দেন।
তবে এই লোককাহিনী ইতিহাসের কোন গ্রন্থে স্থান পায়নি। ৮৭৪ সালের দিকে বায়েজিদ বোস্তামী মারা গেলেও, এই প্রাচীন কীর্তির তারিখ ৮৫০ সাল বা আরো আগের হতে পারে।
এই জনশ্রুতির স্বপক্ষে অষ্টাদশ শতাব্দীর চট্টগ্রামের কিছু কবির কবিতার উল্লেখ করা হয়- যেখানে শাহ সুলতান নামক একজন মনীষীর নাম বর্ণিত আছে।
বায়েজীদ বোস্তামীকে যেহেতু সুলতান উল আরেফীন হিসাবে আখ্যায়িত করা হয় যেই সূত্রে এই শাহ সুলতান আর সুলতান উল আরেফীনকে একই ব্যক্তি হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।
বায়েজীদ বোস্তামী মাজার -এর ইতিহাস ও গঠনশৈলী
ঐতিহাসিক ভিত্তি খুঁজে পাওয়া না গেলেও ধারণা করা হয়, চট্টগ্রামে সুফী সাধক ও আউলিয়াগণ ইসলাম ধর্ম প্রচারের সময় সচরাচর পাহাড় কিংবা জঙ্গলঘেরা অঞ্চলে আবাস স্থাপন করে মাজার কিংবা এই ধরনের বিভিন্ন স্থাপনা প্রতিষ্ঠা করেন।
বায়েজিদ বোস্তামীর মাজারও নাসিরাবাদের একটি পাহাড়ে এমন নৈসর্গিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত।
ইতিহাস মতে, পার্সিয়ান সুফি বায়েজিদ বোস্তামীর নামে গড়ে ওঠা এই মাজারে অবয়ব সর্বপ্রথম ১৮৩১ সালে পাহাড়ের উপরিভাগে একটি দেয়ালঘেরা আঙিনার মাঝে আবিষ্কার করা হয়।
আঙ্গিনার ঠিক মাঝামাঝি একটি শবাধার অবস্থিত। পরবর্তীতে সমাধিস্থলটি আধুনিক কাঠামো দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। সমাধি পাহাড়ের পাদদেশে একটি তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মোঘল রীতির আয়তাকার মসজিদ ও পাশে বিশালাকার দীঘির অবস্থান।
মসজিদ মাঝের গম্বুজটি পাশের দুইটি গম্বুজের থেকে বড়। মসজিদের চার কোনায় চারটি সংযুক্ত অষ্টভুজ আকৃতির বুরুজ আছে।
এগুলোর শীর্ষভাগ ছত্রী দ্বারা ঢাকা এবং উত্থিত বন্ধনী নকশা দ্বারা অলঙ্কৃত। বুরুজগুলোর ভিত ফুলদানি আকৃতির।
পূর্ব দিকের তিনটি দরজার মধ্যে মাঝেরটি তুলনামূলকভাবে বড় এবং দুইটি পল কাটা ছোট বুরুজসহ এটি সম্মুখভাগে প্রসারিত।
অনুরূপভাবে কিবলা দেয়ালের মিহরাবটির পিছনের দিকে অভিক্ষেপ আছে।
ক্রমশ সরু কোণবিশিষ্ট স্তম্ভের উপর স্থাপিত উঁচু খাঁজ খিলানের নিচ দিয়ে প্রবেশ পথগুলি উন্মুক্ত।
ইমারতটির প্রবেশপথ দুসারি শরছিদ্র দ্বারা সজ্জিত। এর ফাসাদ কুলুঙ্গি, খোপ ও ফ্রেম দ্বারা সজ্জিত।
স্থাপত্যশৈলী থেকে ধারণা করা হয় মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব এর আমলে মসজিদটি নির্মিত।
বিস্ময়কর ‘কচ্ছপ’ বা ‘কাছিম’
বায়েজিদ বোস্তামীর মাজারের সুবিশাল পুকুরের বাসিন্দা কাছিম জগদ্বিখ্যাত। এ ‘কাছিম’ বা ‘কচ্ছপ’ গুলোকে জীববৈচিত্র্যের অমূল্য সম্পদ বলে বিবেচনা করা হয়।
মাজারের ভক্তকূল ও আঞ্চলিক জনশ্রুতি অনুযায়ী, বায়েজিদ বোস্তামী এই অঞ্চলে ভ্রমণকালে দুষ্ট জ্বীন এবং পাপিষ্ঠ আত্মার পদচারণা ছিলো।
এসব দুষ্ট আত্মাকে শাস্তিস্বরূপ কচ্ছপে পরিণত করেন এবং আজীবন পুকুরে বসবাসের দণ্ডাদেশ দেন।
প্রাণিবিজ্ঞানী অ্যান্ডারসন ১৮৭৫ সালে সর্বপ্রথম ভারতের জাদুঘরে রক্ষিত দুটি নমুনা থেকে বোস্তামীর কচ্ছপের প্রজাতিটির সন্ধান পান।
রক্ষিত নমুনা দুটি ছিল চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামীর মাজার পুকুর থেকে সংগৃহীত।
প্রাণিবিজ্ঞানী ম্যালকম স্মিথ ১৯৩১ সালে তার ‘ফনা অব ব্রিটিশ ইন্ডিয়া’ গ্রন্থে লেখেন, ভারতবর্ষে ‘নিলসোনিয়া নিগরিকেন টার্টেল’ বা বোস্তামি কাছিম একমাত্র বায়েজিদ বোস্তামির মাজারে পাওয়া যায়।
এই কচ্ছপের ওপর ন্যাশনাল জিওগ্রাফি চ্যানেল ডকুমেন্টারি তৈরি করেন ২০০৭ সালে। বায়েজিদ বোস্তামীর বিশেষ প্রজাতির কচ্ছপগুলো এখন বিলুপ্তপ্রায়।
আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ কর্তৃক ২০০২ সালে বোস্তামীর কচ্ছপকে চরমভাবে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়।
প্রাণিবিজ্ঞানীদেরও ধারণা ছিল বোস্তামি কাছিম উপমহাদেশ অঞ্চলের প্রাণী নয়।
সাম্প্রতিক এক গবেষণার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা দাবি করে, বোস্তামি কাছিম বাংলাদেশ অঞ্চলের নিজস্ব প্রাণী।
প্রাণিবিজ্ঞানী এন এনানডেলের গবেষণা মতে, বোস্তামীর কচ্ছপ একসময় ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকা থেকে মিয়ানমার পর্যন্ত বিশাল এলাকাজুড়ে বিচরণ করতো।
এই প্রজাতির কচ্ছপ এতই দুর্লভ যে, বর্তমানে শুধু বায়েজিদ বোস্তামীর মাজার সংলগ্ন দিঘীতেই এটি টিকে আছে। পৃথিবীর আর কোথাও এই কচ্ছপ দেখা যায় না।
বৈজ্ঞানিকভাবে এদের কালো নরম খোলের কচ্ছপ হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। এদের বৈজ্ঞানিক নাম হলো- Aspideretes nigricans।
বায়েজিদ বোস্তামীর মাজার কর্তৃপক্ষের হিসাবে বর্তমানে পুকুরে সাত শতাধিক কাছিম রয়েছে। যাদের গড় বয়স ১শ বছরের চেয়েও বেশী।
প্রজননের মৌসুমে মাজারের মূল পাহাড়ের পেছনে এদের জন্য সংরক্ষিত স্থানে ‘ডিম পাড়া’র ব্যবস্থা করা হয়।
মার্চের প্রথম থেকে মে পর্যন্ত বোস্তামী কাছিমের ডিম পাড়ার মৌসুম। ডিম দেওয়ার ৮০ থেকে ৯০ দিন পর এর বাচ্চা ফোটে।
এই কচ্ছপগুলোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য- আকারে এই কচ্ছপ অনেক বড় হয় এবং ওজনও বেশি।
আছে, কালের সাক্ষী হয়ে শত শত বছর এদের বেঁচে থাকার অপূর্ব ক্ষমতা।
মসরুর জুনাইদ-এর ব্লগে আরও পড়ুন-
- মগের মুল্লুক: মগদের আদি নিবাস ‘ইংরা হংপ্রা’ সাতকানিয়ায়
- কিংবদন্তির ‘চেরাগী পাহাড়’ আছে কেবল নামেই
- পরীর পাহাড়ে চট্টগ্রাম আদালত ভবন, অনন্য স্থাপত্যকীর্তি!
বায়েজিদ বোস্তামীর মাজার -এর পুকুরের কচ্ছপের পাশাপাশি রয়েছে গজার মাছ। স্থানীয়ভাবে কচ্ছপকে ‘মাজারী’ ও গজারকে ‘গজারী’ বলে আখ্যায়িত করা হয়।
বোস্তামী কাছিম নিয়ে পরিচালিত বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বায়েজিদ বোস্তামী মাজার–এর মাজার প্রাঙ্গণে অবস্থিত পুকুরটির দৈর্ঘ্য ৯৮ দশমিক ৮ মিটার এবং প্রস্থ ৬১ দশমিক ৩ মিটার।
শুষ্ক মৌসুমে পুকুরটির গভীরতা আড়াই মিটার ও বর্ষায় পাঁচ মিটারে দাঁড়ায়।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে দিঘীতে বিষ ঢেলে এদের নির্বংশ করার চেষ্টা করেছিল দুর্বৃত্তরা।
তবে জাতীয় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পদক্ষেপে সে যাত্রায় রক্ষা পায় অনেকগুলো কচ্ছপ।
মানত গাছ বা ইচ্ছে পূরণ গাছ!
পুকুরের ঘাট থেকে কয়েক কদম এগিয়ে গেলেই মাজারের সিড়ি। ওই সিড়ি বেয়ে পাহাড়ের উপরে উঠলে বায়েজিদ বোস্তামীর মাজার-এর স্থাপনা।
আর এই মাজার আঙ্গিনায় আছে ইচ্ছে পূরণ গাছ বা মানত গাছ । মাজার জিয়ারতের পর ভক্তরা কোনো নিয়ত করে ওই গাছে সুতা বেঁধে যায় কিংবা চিরকুটে বিভিন্ন আর্জি লিখে গাছের সাথে ঝুলিয়ে দিয়ে থাকে।
যদি তার আশা পূরণ হয় তবে আবারো এসে ওই সুতা খুলে দিয়ে যায়। তারা মনে করেন, যে আশায় সুতা বেঁধে দেন, ইচ্ছে পূরণ গাছের উছিলায় তা পূরণ হয়।
ইচ্ছে পূরণ গাছের প্রতি ভক্তদের কতটা বিশ্বাস, তা অনুমান করা যায় গাছের চিত্র দেখলেই। প্রতিটি গাছে এমনভাবে সুতা বাঁধা হয়েছে যে গাছের পুরোটা লাল রং ধারণ করেছে।