অনলাইন গণমাধ্যম: বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে সংবাদপাঠের হার ব্যাপকভাবে বেড়েছে।
সংকটপূর্ণ বিশ্ব পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে গণমাধ্যমগুলো অনলাইনের দিকে ঝুঁকতে বাধ্য হচ্ছে।
রয়টার্স ইনস্টিটিউট অব জার্নালিজম প্রকাশিত বার্ষিক ডিজিটাল সংবাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বিশ্বব্যাপী লকডাউনের কারণে টেলিভিশন ও অনলাইনে খবর দেখার হার অনেকটাই বেড়েছে।
একইসঙ্গে বেড়েছে ভুয়া খবর ছড়ানোর ঝুঁকিও। আর গুজব ছড়ানোর মাধ্যম হিসেবে শীর্ষে রয়েছে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ।
আরও পড়ুন – ছাপা পত্রিকা এখনো খবরের জন্য সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য উৎস: জরিপ
রয়টার্স ইনস্টিটিউট তাদের প্রতিবেদনে বলছে, মহামারির কারণে প্রযুক্তিগত বিপ্লবের গতি বৃদ্ধি পেয়েছে।
সংবাদপাঠের মাধ্যম হিসেবে এখন অনেক বেশি মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন। তবে সংবাদমাধ্যমের ব্যবসায় এখন ব্যাপক মন্দা চলছে।
বিজ্ঞাপন কমে যাওয়ায় বিশ্বব্যাপী অসংখ্য গণমাধ্যম কর্মীছাটাইয়ের পথে হাঁটছে। এর মধ্যেও আশার আলো দেখাচ্ছে অনলাইন গণমাধ্যম গুলো।
সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অনলাইন গণমাধ্যম এর পেছনে অর্থ ব্যয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
যদিও এক্ষেত্রে সংবাদের মান ধরে রাখা নিয়ে সংশয় বাড়ছেই।
এছাড়াও নতুন বিনিয়োগ বা বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে বিজয়ীরাই সব পাবে ধরনের ভাবধারা চালু হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
আরও পড়ুন – অনলাইন পোর্টাল নিবন্ধন ফি ১০ হাজার টাকা, প্রতিবছর নবায়ন ফি দিতে হবে
যেমন- যুক্তরাষ্ট্রে ওয়াশিংটন পোস্ট, নিউইয়র্ক টাইমস বা যুক্তরাজ্যের টাইমস, টেলিগ্রাফ লাভের বেশি অংশ টেনে নিতে পারে।
আবার যারা ভাবছেন সংবাদের প্রতিযোগিতায় ভিডিওমাধ্যম সবার আগে থাকবে, তাদের ধারণাও ভুল বলছে প্রতিবেদনটি।
রয়টার্স ইনস্টিটিউট তাদের জরিপে দেখতে পেয়েছে, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশে ৩৫ বছরের কম বয়সীরা সংবাদ দেখার চেয়ে পড়তেই বেশি পছন্দ করেন।