ই-অকশন (অনলাইনে নিলাম আবেদন) যুগে প্রবেশ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। বুধবার (২৮ অক্টোবর ২০২০) সকাল থেকে যে কেউ ই-অকশনের মাধ্যমে নিলামে অংশগ্রহণ করতে পারবে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম শাখায় প্রথমবারের মতো চালু হচ্ছে ই-অকশন পদ্ধতি। এতে যে কোনো স্থান থেকেই প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট উপস্থাপন করে নিলামে অংশ নিতে পারবেন।
ই-অকশন (অনলাইনে নিলাম আবেদন) একদিকে সময় বাঁচবে, অন্যদিকে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে।
বর্তমানে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে জব্দ পণ্যের নিলাম প্রক্রিয়া ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে হচ্ছে। প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল এবং সময়সাপেক্ষ।
ই-অকশন এর পাশাপাশি আগামীতে ই-পেমেন্ট পদ্ধতির চালু করা হবে শতভাগ এমনটাই জানাল চট্টগ্রাম কাস্টম।
মসরুর জুনাইদ-এর ব্লগে আরও পড়ুন-
- ই–পাসপোর্ট সহজে যেভাবে পাবেন
- অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করবেন যেভাবে
- হোল্ডিং ট্যাক্স এবং হোল্ডিং নম্বর
ফেব্রিক্স, আয়রন পাইপসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে ১৬টি লটে প্রাথমিকভাবে অনলাইন নিলাম কার্যক্রম শুরু করল চট্টগ্রাম কাস্টমস।
বিডাররা (নিলামে অংশগ্রহণকারীরা) nbr.gov.bd অথবা chc.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ই-অকশন ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন করে দরপত্র জমা দিতে পারবে।
ই-অকশনে (অনলাইনে নিলাম আবেদন) অংশগ্রহণকারীরা পণ্যের দর, পণ্যের তালিকা, পণ্যের ছবি দেখতে পাবে। প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত পূরণ করে ঘরে বসেই নিলামে অংশ নেওয়া যাবে।
একইভাবে ঘরে বসেই দেখতে পারবেন, কোন ক্যাটালগের সর্বোচ্চ বিডার কে হয়েছেন।
এতে কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই নিলাম কাজ সম্পন্ন করতে পারবে।
জানা যায়, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়।
এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস।
নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়। ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস।
এতে করে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কন্টেনার পড়ে থাকে।
আমদানি পণ্য যথাসময়ে খালাস না নেওয়ায় বন্দরগুলোতে প্রায়ই কন্টেনার জট লাগে।
দিনের পর দিন কন্টেনার পড়ে থাকলে বন্দর কর্তৃপক্ষও চার্জ পায় না।
মসরুর জুনাইদ-এর ব্লগে আরও পড়ুন-
- ট্রেড লাইসেন্স করবেন কীভাবে, এ টু জেড জেনে নিন
- ঘরে বসে নিজেই বানিয়ে নিন ই-টিআইএন
- জেনে নিন কপিরাইট নিবন্ধন করার নিয়মকানুন: ঘরে বসেই ই-কপিরাইট!
কাস্টমস সূত্র জানান, আইনগত প্রক্রিয়া মেনেই জব্দ পণ্য নিলামে তুলতে হয়।
বাংলাদেশ কাস্টমসের নীতিমালা অনুযায়ী কিছু কিছু পণ্য নিলামে তোলার ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্র (সিপি) নিতে হয়। এতে কালক্ষেপণ হয়।
ই-অকশনে (অনলাইনে নিলাম আবেদন) সফটওয়্যারটি চালুর ফলে পণ্যের তালিকা ও দরপত্রের সবকিছুই অনলাইনে দেখা যাবে।
আগ্রহীরা কাস্টমস অফিসে না এসেই আবেদন করতে পারবেন।
এর পর অনলাইনের মাধ্যমেই নিলাম প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর সর্বোচ্চ দরদাতার নামে পণ্য বরাদ্দ দেওয়া হবে।
নিলামকাজ যাতে সহজ ও দ্রুত করা যায়, সে জন্য পুরো প্রক্রিয়াটি অনলাইনে করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে ভোগান্তি কমবে বলে জানান কাস্টমস অফিস।